জীবনানন্দ পত্রাবলি (হার্ডকভার)
জীবনানন্দ পত্রাবলি (হার্ডকভার)
৳ ৬৯৫   ৳ ৫৯১
১৫% ছাড়
1 টি Stock এ আছে
Quantity  

তথ্য সাময়িকী সালতামামি – ২০২৩  অর্ডার করলে সাথে সালতামামি ২০২২ ফ্রি

১১৯৯ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY

১২ মাসের তথ্য সাময়িকী (জানুয়ারী – ডিসেম্বর, ২০২৩)  এখন ৬০% ছাড়ে

Home Delivery
Across The Country
Cash on Delivery
After Receive
Fast Delivery
Any Where
Happy Return
Quality Ensured
Call Center
We Are Here

আধুনিক বাংলা কবিতার প্রধান পুরুষ কবি জীবনানন্দ দাশ। মুখোমুখি সাক্ষাৎ এবং কথোপকথনের চেয়ে চিঠিতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন নির্জনতাপ্রিয় এই কবি। নিয়মিতই চিঠিপত্র লিখেছেন। পরিতাপের বিষয়, তাঁর অনেক অনেক চিঠি আমাদের হাতে পৌঁছল না, অপুনরুদ্ধারণীয়ভাবে হারিয়ে গেল কালের গর্ভে।
জীবনানন্দ নিয়মিত চিঠি লিখতেন, যতœ নিয়ে। তাঁর লেখার খাতা খুলে পাওয়া যাচ্ছে অনেক চিঠির খসড়া, অনেক ক্ষেত্রে চিঠি ডাক করার আগে সেটির অনুলিপি করেছেন।
তাঁর চিঠিগুলোতে একজন আত্মবিশ^াসী, সৌজন্যসুন্দর এবং অকপট ব্যক্তিত্বের পরিচয় পাওয়া যায়, যিনি মানবিক সম্পর্কের ব্যাপারে আন্তরিক, যাঁর পরিমিতিবোধ অগাধ, যাঁর বিনয় প্রশস্ত ও অবিচল। একই সঙ্গে আত্মমর্যাদা সচেতন। ব্যক্তিমানসের বিশ^স্ত ছবি ফুটে উঠেছে চিঠির পঙ্ক্তিতে পঙ্ক্তিতে। যথাযথ ও নির্ভুলভাবে কবিতা মুদ্রণ নিয়ে অবিরাম দুশ্চিন্তা, বেকারত্ব ও সীমাহীন আর্থিক দুরবস্থা, চাকরির জন্য অসহায় প্রচেষ্টা, ব্যক্তিজীবনের নিঃসঙ্গতা, অন্যের কীর্তি ও প্রতিভার প্রতি ঈর্ষাহীন শ্রদ্ধা, গুরুজনদের ব্যাপারে দায়িত্ববোধ ইত্যাদি নানাবিধ জীবনানন্দীয় বৈশিষ্ট্যের অভিজ্ঞান এই চিঠিগুলো।
বেশ কয়েকটি চিঠি তাঁর সাহিত্যবিষয়ক মতাদর্শ ও ধ্যানধারণার অকৃত্রিম স্বাক্ষর বহন করে আছে। সঞ্জয় ভট্টাচার্য বলেছেন, “চিঠিপত্রে অত্যন্ত অন্তরঙ্গ কবি ছিলেন তিনি। তাঁর চিঠি পেলে মনে হতো, সব সময় তিনি কবিতার কথা ভাবেন। এমন তো কেউ ভাবেন না, রবীন্দ্রনাথেরও অন্যান্য ভাবনা আছে। কিন্তু কবিতার দুর্ভাবনা ছাড়া কি এই ব্যক্তিটির ভাবনার মতো আর কিছু নেই?”

Title : জীবনানন্দ পত্রাবলি
Author : ফয়জুল লতিফ চৌধুরী
Publisher : পাঠক সমাবেশ
ISBN : 9789849590798
Edition : 1st Edition, 2022
Number of Pages : 248
Country : Bangladesh
Language : Bengali

জন্ম: ৩ জুন, ১৯৫৯, বাংলাদেশের অন্যতম অর্থনীতিবিদ ও সাহিত্যিক। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন। এছাড়াও, তিনি অর্থনীতি, ব্যবস্থাপনা ও অপারেশানস্ও বিজনেস রিসার্চ ইত্যাদি বিষয়ের অধ্যাপক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে ১৯৮১ স্নাতক ও ১৯৮৩ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে ১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়ার মনাশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেন এবং ১৯৯৭ সালে লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্সে অধ্যয়ন করেছেন। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার ডিকিন বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি কিছু সময়ের জন্য পাবলিক পলিসি অধ্যয়ন করেন। তিনি ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে (বিসিএস ১৯৮২ ব্যাচ) যোগ দেন। অতঃপর সরকারের কর্মকর্তা হিসেবে তিনি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে কাজ করেছেন। একই সঙ্গে বিশ্বব্যাংক ও আংকটাডের পরামর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৩ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত তিনি কূটনৈতিক পদে বেলজিয়াম, সুইজারল্যাণ্ড ও লুক্সেমবুর্গ এ দায়িত্ব পাল করেছেন। ২০১৪ সাল থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ফয়জুল লতিফ চৌধুরী বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় কার্যরত রয়েছেন। সাহিত্য গবেষণা তাঁর প্রিয় ক্ষেত্র। তিনি জীবনানন্দ দাশের কবিতা ও অন্যান্য রচনা নিয়ে প্রায় তিন দশক যাবৎ গবেষণা করে চলেছেন। জীবনানন্দ দাশের কবিতা ইংরেজিতে অনুবাদ এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেয়ার ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছেন। তিনি জীবনানন্দ দাশের স্বহস্তে লিখিত পাণ্ডুলিপির ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন কাব্যগ্রন্থের সঠিক পাঠ নিরূপণ করেছেন। বিশেষ করে রূপসী বাংলা কাব্যগ্রন্থের বর্জিত অংশ পুনরূদ্ধার করেছেন ও সম্পাদক কর্তৃক সংযোজিত শব্দাবলী বর্জন করে বিশুদ্ধ পাঠ তৈরী করেছেন। ২০১৪ সালে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর গবেষণা প্রতিবেদন ‘চটি সাহিত্যের পূর্ব পশ্চিম’। বর্তমানে তিনি বাংলা সাহিত্যের অভিধানে অসংকলিত শব্দ নিয়ে গবেষণা করছেন।


If you found any incorrect information please report us


Reviews and Ratings
How to write a good review


[1]
[2]
[3]
[4]
[5]